আগামী ২৬ মার্চ ঢাকা থেকে চিলাহাটি হয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারে বহুকাঙ্ক্ষিত ঢাকা-নিউ জলপাইগুড়ি ‘মিতালী এক্সপ্রেস। এর মধ্য দিয়ে ওই রুটে দীর্ঘ প্রায় ৫৮ বছর পর আবার যাত্রীবাহী ট্রেনের চাকা গড়াবে। ওই দিনটিকে সামনে রেখে ইতোমধ্যে সবধরনের চূড়ান্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করছে উভয় দেশের সংশ্লিষ্ট মহল। ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা সব্যসাচী দে মিতালী এক্সপ্রেস চালুর কথা নিশ্চিত করেছেন।
২০২০ সালের ১৭ ডিসেম্বর দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন আন্তর্জাতিক হলদিবাড়ি-চিলাহাটি রেল রুটের। শুরু হয় পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা। এরপর ২০২১ সালের ২৭ মার্চ ভার্চুয়ালি দুই দেশের প্রধানমন্ত্রী যাত্রীবাহী মিতালী এক্সপ্রেসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। করোনার কারণে দুবছর পর্যটন ভিসা দেওয়া বন্ধ রেখেছিল ভারত। সে কারণে উদ্বোধন হলেও ট্রেনটি সীমান্ত পেরিয়ে ভারতের মাটিতে আর আসেনি। বর্তমানে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় ট্রেনটি চালু করার সিদ্ধান্ত নেয় দুই দেশের রেল মন্ত্রণালয়।
সূত্রের খবর অনুযায়ী, ২৬ মার্চ ট্রেনটি ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থেকে যাত্রী নিয়ে নীলফামারী, ডোমার, চিলাহাটি স্টেশন হয়ে ভারতের হলদিবাড়ি স্টেশনে এসে পৌঁছাবে। বাংলাদেশের ইঞ্জিনসহ লোকো-পাইলটরা হলদিবাড়ী স্টেশনে থেকে যাবেন। হলদিবাড়ী থেকে ভারতীয় ইঞ্জিনে ট্রেনটিকে নিউ জলপাইগুড়ি পর্যন্ত নিয়ে যাবেন ভারতের লোকো পাইলটরা। ফেরার সময় ঠিক একইভাবে বাংলাদেশের ইঞ্জিনসহ লোকো-পাইলটরা ট্রেনটি সেদেশে নিয়ে যাবেন। ভারতের রেল সূত্রে খবর, মিতালী এক্সপ্রেসের টিকিট কাটার জন্য বৈধ ভিসা এবং পাসপোর্ট প্রয়োজন। বাংলাদেশের ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট রেলওয়ে স্টেশন এবং ভারতের নিউ জলপাইগুড়ি রেলস্টেশন থেকে টিকিট পাওয়া যাবে।
ঠিক হয়েছে, ট্রেনটি উভয় দেশ থেকে সপ্তাহে দুইদিন করে চলাচল করবে। নিউ জলপাইগুঁড়ি থেকে রবিবার ও বুধবার। অন্যদিকে, বাংলাদেশ থেকে সোমবার ও বৃহস্পতিবার ট্রেনটি যাত্রা করবে। ট্রেনটিতে মোট যাত্রীবাহী কোচ থাকবে আটটি। চারটি কেবিন কোচ ও চারটি এসি চেয়ার কোচ।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ট্রেনটিতে চিলাহাটি স্টেশনের জন্য দুটি পৃথক কোচ বরাদ্দ থাকবে। চিলাহাটি স্টেশনে ট্রেনটি ৩০ মিনিট দাঁড়াবে।