খাদ্যসহ নিত্যপণ্যের দাম, জ্বালানি তেল ও সারের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদ এবং বাসভাড়া কমানোর দাবিতে আজ বৃহস্পতিবার অর্ধদিবস হরতাল পালন করেছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। তবে এই হরতালে কোনো প্রভাব পড়েনি রাজধানী ঢাকায়। সকাল থেকেই সড়কে যানবাহন ও অফিসগামী যাত্রীদের চলাচল ছিল স্বাভাবিক । হরতালের কোনও প্রভাব পড়েনি মতিঝিল ব্যাংক পাড়ায়ও।
হরতালের সমর্থনে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৬টায় রাজপথে নামে বাম গণতান্ত্রিক জোট এবং তাদের অঙ্গ ও সহযোগী-সমমনা সংগঠনগুলো । এসময় পল্টনে পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি অন্যদিনের তুলনায় কিছুটা বেশি দেখা গেছে। বাড়তি পুলিশ দেখা গেছে শাহবাগ, কাঁটাবন ও পলাশী মোড়ে।
সকালেই রাজধানীর পুরানা পল্টন মোড়ে বিক্ষোভ মিছিল করে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এছাড়া পল্টন, শাহবাগ ও কাঁটাবন এলাকায় ছোট ছোট মিছিল করেছে প্রগতিশীল ছাত্র সংগঠনগুলো। নগরীর অন্য এলাকায় হরতালকারীদের তৎপরতা চোখে পড়েনি। রাজধানীর মিরপুরেও অন্যান্য দিনের মতোই মানুষের চলাচল স্বাভাবিক ছিল। রাস্তায় কর্মজীবী মানুষের ব্যস্ততার পাশাপাশি যানবাহনও চলছে নির্বিঘ্নে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সকাল ৭টার দিকে ২৫ থেকে ৩০ জনের একটি দল হরতালের সমর্থনে মিছিল নিয়ে শাহবাগ আসে। মিছিল নিয়ে আজিজ সুপার মার্কেটের দিকে চলে যায় তারা।
কিছুক্ষণ পর ছাত্র ইউনিয়নের ব্যানারে একটি মিছিল শাহবাগ মোড়ে এসে অবস্থান নেয়। তাদের অবস্থানের কারণে শাহবাগে যানবাহন চলাচলে কিছুটা বিঘ্নতা তৈরি হয়। তবে মিনিট পাঁচেক পরই ছাত্র ইউনিয়নের মিছিলটি কাঁটাবনের দিকে চলে যায়। এতে যানচলাচল ফের স্বাভাবিক হয়।
ঘণ্টা দুয়েক পরে ‘প্রগতিশীল ছাত্রসংগঠন সমূহ’র ব্যানারে একটি মিছিল বাংলামোটর থেকে শাহবাগের দিকে এগিয়ে যায়। এ সময় পুলিশের তাদের বাগবিতণ্ডা হলে লাঠিচার্জ করা হয়। এ সময় মিছিলকারীরা কাঁটাবনের দিকে চলে যায়।
হরতাল পালন সম্পর্কে বাম জোটের সমন্বয়ক ও সিপিবির সাধারন সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করেছি আমরা। কোথাও থেকে কোনো বাধা আসেনি, এমন কোনো খবরও পাইনি আমরা।
হরতালের পরিস্থিতি সম্পর্কে রমনা বিভাগের পুলিশের সহকারী কমিশনার (পেট্রোল) বাহাউদ্দিন বলেন, অন্যান দিনের মতো সবকিছু স্বাভাবিকভাবেই চলেছে। বাস-গাড়িসহ মানুষের চলাচল স্বাভাবিক ছিল রাজধানীতে।
এদিকে হরতালের সমর্থনে বগুড়ায় মিছিল হয়েছে। চট্টগ্রামে হয়েছে ট্রাক মিছিল।