স্বাধীনতা দিবসের দিনেও রুশ হামলায় রক্তাক্ত হল ইউক্রেন। স্থানীয় সময় বুধবার (২৪ আগস্ট) ইউক্রেনের একটি রেল স্টেশনে রকেট হামলা চালিয়েছে রুশ সেনারা। এতে কমপক্ষে ২২ জন নিহত হয়েছেন। কিয়েভে সামরিক অভিযানের ৬ মাস পূর্তির দিনে এমন নৃশংস হামলা চালালো রাশিয়া। খবর বিবিসির।
ইউক্রেন কর্তৃপক্ষ জানায়, পূর্বাঞ্চলীয় শহর চ্যাপলিনের রেল স্টেশন ও আশপাশে কয়েকদফা হামলা চালিয়েছে রুশ বাহিনী। রেলস্টেশনে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে ২১ জন নিহত হয়েছে। আহত হয়েছে আরও ৫০ জন। এরমধ্যে ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাতে একটি যাত্রীবাহী ট্রেনেও আগুন লেগে যায়। এতে অন্তত চারজনের প্রাণহানি ঘটেছে। এছাড়া একটি গাড়িতে আগুন লেগে পুড়ে মারা গেছেন পাঁচজন।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সহযোগী কিরিলো টিমোশেঙ্কো জানান, রুশ বাহিনী চ্যাপলিনে দুই বার গোলা নিক্ষেপ করেছে। এর একটি ক্ষেপণাস্ত্র একটি আবাসিক ভবনে আঘাত হানলে ১১ বছরের একটি ছেলে নিহত হয়। পরে আরেকটি গোলা রেল স্টেশনে আঘাত হানে।
প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি আগেই সতর্ক করেছিলেন, স্বাধীনতা দিবসে বড় ধরনের কোনো হামলা চালাতে পারে রাশিয়া। সেই আশঙ্কাই দিনের শেষভাবে সত্যি হল।
২৪ আগস্ট ৩১তম স্বাধীনতা দিবস উদযাপন করে ইউক্রেন। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে স্বাধীন হয় দেশটি। তবে রুশ হামলার কারণে স্বাধীনতা দিবস উদযাপনে কোনো আয়োজন ছিল না দেশটিতে।
এদিকে ওই হামলার পরপরই বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে ঘটনার বর্ণনা দেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি। ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে জেলেনস্কি বলেন, জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলাকালেই এমন নৃশংস হামলা চালিয়েছে রাশিয়া।
এ ব্যাপারে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি রাশিয়া।
এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টোনি ব্লিংকেন। তিনি বলেন, বেসামরিক মানুষে ভর্তি একটি ট্রেন স্টেশনে রাশিয়া ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছে। রাশিয়ার জবাবদিহিতার জন্য ইউক্রেনের পাশে থাকবো আমরা।
জাতিসংঘ মহাসচিব ইউক্রেন যুদ্ধকে ‘অর্থহীন’ বলে আখ্যা দেন। নিরাপত্তা পরিষদের ওই বৈঠকে তিনি বলেন, এই অর্থহীন যুদ্ধ ইউক্রেনসহ বিশ্বের লাখ লাখ মানুষকে চরম দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেবে।