অ্যাপোলো চন্দ্রাভিযানের ৫০ বছর পর ফের চাঁদের খবর নিতে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। সেজন্য চাঁদের উদ্দেশে উড়াল দিতে প্রস্তুত নাসার নতুন রকেট। নাসার পরবর্তী-প্রজন্মের রকেটটির নাম আর্তেমিস। ফ্লোরিডার কেনেডি স্পেস সেন্টার থেকে স্থানীয় সময় সোমবার ভোরে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হবে। ওরিয়ন নামের ক্যাপসুলটিকে পৃথিবী থেকে চাঁদে নিয়ে যাবে আর্তেমিস । খবর বিবিসির।
নাসার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, রকেট উৎক্ষেপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন সংশ্লিষ্টরা। উড্ডয়নের জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা এরইমধ্যে সুসম্পন্ন হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে স্থানীয় সময় সোমবার ৮টা ৩৩ মিনিটে উড্ডয়ন করবে ঐতিহাসিক আর্তেমিস।
নাসার পরবর্তী প্রজন্মের রকেট আর্তেমিস-১-এর পরীক্ষামূলক অভিযান এটি।
আর্তেমিস-১ অভিযানের পরিচালক জেফ স্পাউলডিং বলেন, খুবই উত্তেজিত সময় পার করছি আমরা। মহাকাশ যানটি উড্ডয়নের জন্য প্রস্তুত। এটিকে খুবই সুন্দর দেখাচ্ছে।
নাসার এই অভিযানে মানুষ থাকছে না। তবে ওরিয়ন ক্যাপসুলে মানুষের মতো দেখতে ম্যানিকুইন থাকবে তিনটি। সেগুলোর সঙ্গে থাকবে বিকিরণ ও কম্পন রেকর্ড সেন্সর। রকেট থেকে আলাদা হয়ে ক্যাপসুল ওরিয়ন চাঁদের চারপাশ প্রদক্ষিণ করবে এবং প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করবে।
দীর্ঘ দেড় মাস ধরে চলবে এই অভিযান। আশা করা হচ্ছে, রকেটটি পৃথিবীতে ফিরে আসবে ১০ অক্টোবর। ওইদিন ক্যালিফোর্নিয়ার প্রশান্ত মহাসাগরে অবতরণ করবে রকেটটি।
মার্কিন মহাকাশ বিজ্ঞানীরা এই চন্দ্রাভিযানকে মঙ্গল গ্রহে যাওয়ার প্রস্তুতি হিসেবে দেখছেন। নাসা আশা করছে, আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ মহাকাশচারীদের মঙ্গল গ্রহে পাঠাবে তারা।
তার আগে নাসার পরবর্তী লক্ষ্য হচ্ছে ২০২৪ সালে নভোচারীসহ চাঁদের কক্ষপথে রকেট পাঠানো। সেজন্য আর্তেমিস-২ প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২০২৫ সালে চাঁদের বুকে ফের মানুষ নামাতে চায় নাসা। সেজন্য প্রকল্পে রয়েছে আর্তেমিস-৩।
নাসার মহাপরিচালক পল মার্টিন গত মার্চে বলেছিলেন, আর্তেমিস প্রকল্পের প্রতিটি ফ্লাইটের জন্য ৪.১ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে নাসা।