মিররবাংলা ডেস্ক: চলমান ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যোগ দিতে বলা হলো রুশ এমপিদেরও। আজ বৃহস্পতিবার সহকর্মীদের যুদ্ধে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন রাশিয়ার পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষ ডুমার স্পিকার ভ্যাচেস্লাভ ভলোদিন। এর আগে গতকাল রিজার্ভ সেনা মোতায়েনের ঘোষণা দেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
পার্লামেন্ট সদস্যদের প্রতি এক টেলিগ্রাম বার্তায় ভলোদিন বলেন, যাদের রিজার্ভ সেনাবাহিনীতে যোগ দেয়ার যোগ্যতা রয়েছে, তাদের উচিত এখনই ইউক্রেনে সামরিক অভিযানে অংশ নেয়া। এ ব্যাপারে সংসদ সদস্যদেরও কোনো ছাড় নেই।
ইউক্রেনের ন্যাটোয় যোগদান প্রতিহত করতে গত ২৪ ফেব্রুয়ারি দেশটিতে ‘বিশেষ’ সামরিক অভিযান শুরু করে প্রতিবেশি রাশিয়া। এরপর প্রায় সাত মাস ধরে সংঘাত অব্যাহত রয়েছে। এ অভিযানে ইউক্রেনের এক-পঞ্চমাংশ অঞ্চল দখল করে নিয়েছে রুশ বাহিনী।
তবে রুশ অধিকৃত ওইসব এলাকা পুনরুদ্ধার করার লক্ষ্যে সম্প্রতি পাল্টা হামলা শুরু করে ইউক্রেন। সাম্প্রতিক সময়ে কিছু সফলতাও পেয়েছে তারা। উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় খারকিভ প্রদেশের ইজিয়াম শহর দখলমুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে কিয়েভ। রুশ বাহিনী পিছু হটায় গত কয়েক দিন কার্যত চুপই ছিলেন দেশটির প্রেসিডেন্ট পুতিন। তবে বুধবার সেই নীরবতা ভেঙে তীব্র ক্ষোভে ফেটে পড়েন তিনি। এদিন জাতির উদ্দেশে দেয়া টেলিভিশন ভাষণে রাশিয়ার রিজার্ভ সেনার একাংশকে ইউক্রেন অভিযানে মোতায়েনের ঘোষণা দেন পুতিন। এ জন্য প্রায় ৩ লাখ সেনাকে লড়াইয়ের জন্য প্রস্তুত থাকার নির্দেশ দেন তিনি। পুতিন এমন সময়ে এ ঘোষণা দিলেন, যখন ইউক্রেনে রুশ অধিকৃত চারটি অঞ্চল রাশিয়ার সঙ্গে যোগ দিতে গণভোট আয়োজনের ঘোষণা দিয়েছে।
পুতিনের ভাষণের কারণে ইউক্রেন যুদ্ধে সহিংসতা উদ্বেগজনকভাবে বেড়ে যেতে পারে বলে জানিয়েছে যুক্তরাজ্য। এক বিবৃতিতে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরও জানায়, পুতিনের এ হুমকি গুরুত্বসহকারে বিবেচনা করা উচিত।
এদিকে পুতিনের ঘোষণার পর উদ্বেগ প্রকাশ করলেও ইউক্রেন ইস্যুতে আগের অবস্থানে আছে বলে জানিয়েছে চীন। সেই সঙ্গে বাড়তে থাকা উত্তেজনা কমাতে সব পক্ষকে আলোচনার টেবিলে বসার পরামর্শ দিয়েছে বেইজিং।