প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ শুরুর পর রাশিয়া ও পশ্চিমাদের পরস্পরের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বিশ্বের মানুষকে কষ্টে ফেলেছে। এই সঙ্কটের অবসান ঘটাতে হবে। গতকাল বুধবার নিউ ইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে এক গোলটেবিল বৈঠকে এ আহ্বান জানান তিনি। জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের উদ্যোগে ‘গ্লোবাল ক্রাইসিস রেসপন্স গ্রুপ (জিসিআরজি) চ্যাম্পিয়ন্স’ নামে ওই বৈঠকে বক্তব্য দেন শেখ হাসিনা।
বিশ্বে সৃষ্ট নানা সঙ্কট থেকে উত্তরণের উপায় বের করতে ৩২ দেশের প্ল্যাটফর্ম জিসিআরজি। এই প্ল্যাটফর্মের ছয় দেশের রাষ্ট্রনেতা ও সরকারপ্রধান ‘চ্যাম্পিয়ন্স’ হিসেবে জাতিসংঘ মহাসচিবের আহ্বান বাস্তবায়নে কাজ করেন। তাদেরই একজন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৈঠকে ইউক্রেন যুদ্ধ অবসানে গুরুত্ব দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, এই রক্তপাত ও বিপর্যয়কর পরিস্থিতির শান্তিপূর্ণ সমাধান খুঁজে বের করতে হবে। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা ও পাল্টা নিষেধাজ্ঞার কারণে সারাবিশ্বের মানুষকে নিদারুণ কষ্ট সহ্য করতে হচ্ছে। সংঘাতে সরাসরি জড়িত দেশকেই শুধু ভুগতে হচ্ছে না, ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে উন্নয়নশীল ও স্বল্পোন্নত দেশগুলোেকেও।
ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে বিশ্বজুড়ে সমসাময়িক সব সঙ্কট উন্নয়নশীল দেশগুলোর অর্থনীতিতে গভীর দাগ ফেলেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যুদ্ধ আমাদের করোনা পরবর্তী পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টা ও এসডিজি বাস্তবায়ন প্রক্রিয়ায় নতুন চ্যালেঞ্জ যুক্ত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, এই সঙ্কট মোকাবেলা কোনো একটি দেশের পক্ষে সম্ভব নয়। আমাদের এই মুহূর্তে সবচেয়ে বেশি দরকার দৃঢ় রাজনৈতিক অঙ্গীকার ও বৈশ্বিক সংহতি।
সঙ্কট থেকে বের হতে সুনির্দিষ্ট কিছু সুপারিশও তুলে ধরেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, বৈশ্বিক অর্থনীতিতে যে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে, তাতে উদ্বেগ প্রশমনে জি-৭, জি-২০, আইএফআই, সিইসিডি, এমডিবিকে সাড়া দিতে হবে।
যুদ্ধকবলিত উইক্রেন থেকে খাদ্যশস্য বের করতে জাতিসংঘ মহাসচিবের উদ্যোগকে প্রশংসা করেন শেখ হাসিনা।