দেশের জেলা শহর, বিশেষ করে গ্রামাঞ্চলে গড়ে উঠেছে মোটরসাইকেল চোর চক্র। বিভিন্ন জায়গা খেকে চুরি হওয়া দেড় থেকে দুই লাখ টাকা দামের মোটরসাইকেল পৌঁছে যায় তাদের হাতে। পরে তা বিক্রি হয় ৬০ থেকে ৭০ হাজার টাকায়। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বলছেন, লোভে পড়ে কম দামে এসব বাইক কিনলে বিপদে পড়তে পারেন ক্রেতা। আসামি হয়ে যেতে পারেন বাইক চুরি বা ছিনতাই মামলার।
জানা যায়, সম্প্রতি রাজধানী থেকে চুরি হওয়া মোটরসাইকেলের মামলা তদন্ত করতে গিয়ে এসব তথ্য জানতে পেরেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তারা।
চোর চক্র ও চোরাই মোটরসাইকেল কেনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পাঁচ জনকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদ করেন গায়েন্দা কর্মকর্তারা। জিজ্ঞাসাবাদ তারা জানায়, রাজধানীজুড়ে ৭০ থেকে ৭৫টির মতো মোটরসাইকেল ছিনতাই চক্র তৎপর। এই চক্রের সদস্যরা এতটাই কৌশলী যে সিসিটিভি থাকার পরও পার্ক করে রাখা মোটরসাইকেলের লক খুলে কিংবা ভেঙে বাইক নিয়ে চম্পট দিতে পারে। চক্রের সদস্যরা এমন এক ধরনের চাবি ব্যবহার করে যা দিয়ে যেকোনও বাইকের লক খোলা যায় অনায়াসে।
রাজধানীর দক্ষিণ খান ও নোয়াখালী জেলার চাটখিল এলাকায় বুধবার (২১ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালিয়ে মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় ৫ জনকে। তারা হলো- আলী, আনোয়ার হোসেন রুবেল, শামসুল হুদা, কামাল হোসেন ওরফে আকাশ ও মিজানকে। পরে জিজ্ঞাসাবাদে ছিনতাইয়ের নানা কৌশল ও ছিনতাইয়ের পর কোন কোন গন্তব্যে যায় এসব মোটরসাইকেল, সেসব তথ্য জানা যায়।
উত্তরা গোয়েন্দা বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার হাবিবুর রহমান জানান, যাদের কাছে চোরাই গাড়ি পাওয়া যাবে, তাদেরও মামলায় পড়তে হবে। মোটরসাইকেল চুরি হলে সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ করার পরামর্শ দেন এই কর্মকর্তা।