খুলনা ব্যুরো: ইলিশ মাছে সয়লাব হয়ে গেছে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের খুলনার বাজারগুলো। তবে দাম আগের মতোই চড়া। বাজার ভেদে একই সাইজের ইলিেশের দামেও আছে পার্থক্য। খুচরা বাজারে বিক্রি হচ্ছে ব্যবসায়ীদের ইচ্ছেমাফিক দামে। ইলিশের পাশাপাশি অন্য মাছের দামও কিছুটা চড়া।
শনিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত খুলনা সিটি করপোরেশন পরিচালিত রূপসা পাইকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, ৫ নম্বর ঘাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র, নতুন বাজার, রূপসা বাজার, বড় বাজার, টুটপাড়া জোড়াকল বাজার, শেখপাড়া বাজার, মিস্ত্রিপাড়া বাজার, নিউ মার্কেট, বৈকালী বাজারে এমন চিত্র দেখা যায়।
ক্রেতাদের অভিযোগ, ইলিশের সরবরাহ বেশি থাকালেও খুচরা ব্যবসায়ীদের কারসাজিতে দাম নাগালের বাইরে। ব্যবসায়ীদের দাবি, বাজারে যে মাছ আসে তা চলে যায় এলসিতে। বাকি যা থাকে তা কাড়াকাড়ি করে কিনতে হয়। ফলে দাম বেশি পড়ছে।
খুলনা রূপসা পাইকারি মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়, ১৫০-২০০ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি ৩০০-৩৫০ টাকা, ২০০-৩০০ গ্রাম ওজনের ৪০০ টাকা, ৪০০-৪৫০ গ্রাম ওজনের ৪০০-৪৫০ টাকা, ৫০০ গ্রাম ওজনের ৫৮০ থেকে ৬০০ টাকা কেজি, ৭০০-১০০০ গ্রাম ওজনের ৮০০-১০০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া দেড় কেজি থেকে পৌনে ২ কেজি ওজনের ইলিশের দাম ১৪০০-১৫০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
টুটপাড়া জোড়াকল বাজারে ইলিশ কিনতে আসা ক্রেতারা জানান, একেক বাজারে ইলিশের একেক দাম। ৫০০ গ্রাম ওজনের একটি ইলিশ এ বাজারে ৮০০ টাকা চাইছে বিক্রেতা। অন্যদিকে রূপসা ও সন্ধ্যা বাজারে তা ৬০০ টাকা থেকে ৬৫০ টাকা। তবে এক কেজি সাইজের মাছ অন্য বাজারের তুলনায় এখানে অনেক বেশি।
এদিকে অন্য মাছের দামও রয়েছে আকাশচুম্বী। এক কেজি সাইজের রুই ও কাতলা মাছের দাম চাইছে ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি, ছোট চিংড়ি ৩৮০ থেকে শুরু করে ৬০০ টাকা, বাগদা চিংড়ি ৫০০-৯০০ টাকা, ভেটকি ৪০০-৫৫০ টাকা, পাবদা মাছ ৩০০-৪০০ টাকা, বেলে মাছ ৬০০ টাকা, শোল মাছ ৫০০ টাকা।