মিররবাংলা ডেস্ক: জামাইকার বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে অনিশ্চিত ছিলো আর্জেন্টিনার সবচেয়ে বড় তারকা লিওনেল মেসির খেলা নিয়ে। ম্যাচের আগে ফ্লুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন তিনি। তবে সব অনিশ্চয়তা কাটিয়ে মাঠে নেমেছেন দ্বিতীয়ার্ধে। জোড়া গোলে দলকে উপহার দিয়েছেন সহজ জয়।
নিউ জার্সির রেড বুল অ্যারেনায় খেলার শেষ সময়ের আগের তিন মিনিটে জামাইকার জালে দুইবার বল জড়িয়ে নিজের ঝলক দেখিয়েছেন মেসি। এর আগে ম্যাচের উদ্বোধনী গোলটি করেন ইউলিয়ান আলভারেজ। ৩-০ গোলের জয়ে বিশ্বকাপের আগে নিজেদের প্রস্তুতিতা ভালোই সেরে নিলো আকাশি-সাদা জার্সিধারীরা।
জামাইকার বিপক্ষে এই ম্যাচে মেসিকে শুরুর একাদশে রাখেননি কোচ লিওনেল স্কালোনি। তবেও শুরুটা খারাপ হয়নি। ম্যাচের ১৩ মিনিটে লাওতারো মার্টিনেজের কাছ থেকে বল পেয়ে দলকে এগিয়ে নেন আলভারেজ। প্রথমার্ধে আর তেমন কোন সুযোগ তৈরি করতে পারেনি আর্জেন্টিনা।
তবে বিরতির পর মেসি নামতেই বদলে যায় ম্যাচের দৃশ্যপট। ৫৬ মিনিটে মার্টিনেজের বদলি হিসেবে মাঠে নামেন মেসি। এরপরই বদলে যায় দৃশ্যপট। জামাইকার রক্ষণেও একাধিকবার হানা দেয় আর্জেন্টিনা। তবে প্রতিপক্ষের জমাট রক্ষণ ভেঙে গোল পাওয়ার কাজটা হয়েও হচ্ছিলো না।
তবে শেষ পর্যন্ত আটকে রাখা যায়নি ক্ষুদে জাদুকরকে। দুটি গোলই করেছেন একক প্রচেষ্টায়। ৮৬ মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন এই পিএসজি তারকা। দুই মিনিট পর আবারও মেসি-জাদু। এবার ফ্রি-কিক দুর্দান্ত এক নিচু শটে করেছেন লক্ষ্যভেদ। ফ্রি-কিকটি আদায়ও করেছিলেন মেসি।
এই দুই গোলে জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ৯০ গোলের মাইলফলকও স্পর্শ করেছেন মেসি। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে জোড়া গোল করলেন মেসি। এর আগে হন্ডুরাসের বিপক্ষে ম্যাচেও করেছিলেন দুই গোল। আর আর্জেন্টিনার জার্সিতে শেষ তিন ম্যাচে মেসি গোল করেছেন ৯টি। এস্তোনিয়ার বিপক্ষে গত জুনে ৫ বার লক্ষ্যভেদ করেছিলেন এই পিএসজি তারকা।
বিশ্বকাপ প্রস্তুতির এই ম্যাচ দিয়ে টানা ৩৫ ম্যাচে অপরাজিত থাকল আর্জেন্টিনা। আর মাত্র ২টি ম্যাচ জিতলেই তারা ছুঁতে পারবে ইতালিকে। ৩৭ ম্যাচ অপরাজিত থাকা আজ্জুরিরা এখন সবার ওপরে অবস্থান করছে।