ঢাকাশনিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৩
  1. English News
  2. অন্যরকম
  3. অর্থনীতি
  4. আইন-আদালত
  5. আন্তর্জাতিক
  6. আরো
  7. খেলাধুলা
  8. ছবিঘর
  9. জাতীয়
  10. টপ নিউজ
  11. প্রধান খবর
  12. বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. রাজনীতি
  15. লাইফস্টাইল ও স্বাস্থ্য

তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্প: মৃত্যু বেড়ে ২৪ হাজার

মিরর বাংলা২৪.কম
ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২৩ ৮:৪২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: তুরস্ক-সিরিয়ার ভূমিকম্পে মৃত্যুর মিছিল থামছে না; পূর্বের ভূমিকম্পে হতাহতের সব পরিসংখ্যানকে ছাপিয়ে যাচ্ছে। পাঁচ দিনে দুই দেশের মৃত্যু ছাড়াল ২৪ হাজার। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সিরিয়া ও তুরস্কের পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

গত সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্প ঘটে তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্তবর্তী অঞ্চলে। যার উৎপত্তি ঘটে তুরস্কের উত্তরাঞ্চলে। ধ্বংসস্তূপে তুরস্কের কয়েকটি শহর। ভূমিকম্পে লন্ডভন্ড শত শত ভবন। ধ্বংসস্তূপে তল্লাশিতে বেরিয়ে আসছে একের পর এক লাশ। কখনো আবার অলৌকিকভাবে বেঁচে যাচ্ছেন কেউ কেউ। তাদের আহত অবস্থায় নেওয়া হচ্ছে হাসপাতালে।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত দুই দেশের কর্তৃপক্ষ থেকে পাওয়া তথ্য অনুয়ায়ী, ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা বেশি তুরস্কে। দেশটিতে প্রাণহানি বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৩১৮ জনে। আহত হয়েছেন ৮০ হাজারের বেশি।
তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান জানিয়েছেন, তুরস্কে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ প্রদেশে মাঠে উদ্ধার কাজে নিয়োজিত রয়েছেন ১ লাখ ৪১ হাজারের বেশি উদ্ধারকর্মী। এদের মধ্যে বিদেশি টিমও রয়েছে।

এদিকে সিরিয়ার বেসামরিক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা হোয়াইট হেলমেটসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সিরিয়ায় হু হু করে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলসহ সব মিলিয়ে সাড়ে ৩ হাজারের বেশি নিহত হয়েছে।

ধ্বংসাবশেষ থেকে ৩ ভাইকে জীবিত উদ্ধার : ভয়াবহ ভূমিকম্পে তুরস্কের হাতায়া প্রদেশে ধসে পড়া একটি পাঁচতলা অ্যাপার্টমেন্টের ধ্বংসাবশেষ থেকে ৩ ভাইকে জীবিত অবস্থায় বের করে এনেছে উদ্ধারকারীরা। তুরস্কের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম টিআরটি শুক্রবার (১০ ফেব্রুয়ারি) এ তথ্য জানিয়েছে।
টিআরটির তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পের ১২০ ঘণ্টা পর তাদের বের করে আনতে ৯ ঘণ্টা ধরে অভিযান পরিচালনা করে উদ্ধারকারী দলটি। ১১৭তম ঘণ্টায় প্রথমে এক ভাইকে বের করে আনা হয়। পরে ১১৯তম ঘণ্টায় দ্বিতীয়জনকে এবং পরে তৃতীয়জনকে উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের পরিচয় নিশ্চিত করতে পারেনি তুর্কি কর্তৃপক্ষ।
এরদোগানকে দুর্বল দেখাচ্ছে কেন? : ১৯৩৯ সালের পর বিধ্বংসী ভূমিকম্প দেখেনি তুরস্ক। শক্তিশালী ভূমিকম্প পরবর্তী উদ্ধার তৎপরতায় অনেকটাই টালমাটাল এরদোগান প্রশাসন। সবকিছু মিলিয়ে গত ২০ বছরে যে ইমেজ দাঁড় করিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট এরদোগান, তাতে জনপ্রিয়তায় ভাটা পড়ার ইঙ্গিত মিলছে। অনেকে প্রশ্ন ছুড়েছেন, ধ্বংসস্তূপ থেকে আসা মানুষের চিৎকার কী শুনেছেন এরদোগান?

গত সোমবার ভোরে ভূমিকম্পে তুরস্কের একাধিক শহরের অবকাঠামো ধসে গেছে। এত বড় প্রাকৃতিক ট্র্যাজেডি এড়ানো এবং জীবন বাঁচাতে এরদোগানের সরকার দ্রুত যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারতেন কিনা, এসব প্রশ্ন ঘুরছে নানা মহলে।

ভূমিকম্পের পর কিছুটা দেরিতে হলেও কয়েকটি ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে যান তিনি। তার চোখেমুখে হতাশা আর জনপ্রিয়তা হারানোর একটা ভীতি লক্ষ্য করা যায়। তবে উদ্ধারকাজে ধীরগতির কথা স্বীকার করে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘এ ধরনের ঘটনা সবসময় ঘটে আসছে। এটা নিয়তির অংশ।

তুরস্কের স্বেচ্ছাসেবক আকুত ফাউন্ডেশনের প্রধান নাসুহ মাহরুকির মতে, ‘রাজনীতির কারণে কিছুটা বাধাগ্রস্ত হয়েছে উদ্ধারকাজ। ১৯৯৯ সালের আগস্টে শেষ বড় ভূমিকম্প হয়। তখন দেশটির সামরিক বাহিনী ওই অভিযানের নেতৃত্ব দেয়।’

৯৯ সালে ভূমিকম্পে তুরস্কে ১৭ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণহানি হয়। এবার আগের পরিসংখ্যান ছাড়িয়ে গেছে। সবশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তুরস্ক-সিরিয়ায় ভূমিকম্পে প্রায় ২৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছে।
নাসুহ মাহরুকি আরো বলেন, ‘বিশ্বের সবচেয়ে সংগঠিত এবং লজিস্টিকভাবে শক্তিশালী সংস্থাগুলো হচ্ছে সশস্ত্রবাহিনী। তাদের হাতে অনেক বিকল্প উপায় থাকে। সুতরাং একটি বড় দুর্যোগে তাদের ব্যবহার করতে হবে আপনাকে।’

প্রেসিডেন্ট এরদোগান একই সুরে বলেন, এই মুহূর্তে বিশ্বের বৃহত্তম এবং চৌকস উদ্ধারকারী দল থাকা সত্ত্বেও সরকার যেভাবে অনুসন্ধান প্রচেষ্টা চেয়েছিল তা হয়নি।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই ভূমিকম্পে এত প্রাণহানি আগামী নির্বাচনে প্রভাব পড়বে। প্রেসিডেন্ট এরদোগান নিজের জনপ্রিয়তা ধরে রাখতে পারবেন কিনা তা নির্ভর করবে দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠার ওপর।
জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনার (ইউএনএইচসিআর) ধারণা করছে, তুরস্কে শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রতিবেশী সিরিয়ায় ৫০ লাখ মানুষ বাস্তচ্যুত হয়ে পড়েছেন।

জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থাটির সিরিয়ার প্রতিনিধি শিভাঙ্কা ধনপাল জানান, শক্তিশালী ভূমিকম্পে প্রচুর মানুষ আহত হয়েছেন। একইভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের পরিসংখ্যানও অনেক।

তিনি আরো যোগ করেন, ‘সিরিয়ায় যুদ্ধ মধ্যে ভূমিকম্প নতুন সংকট। প্রচণ্ড শীতে পরিস্থিতি আরো জটিল করে তুলছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় তুষারঝড় হচ্ছে। আমরা অর্থনৈতিকভাবে ধাক্কা খেয়েছি।’

গত সোমবার সিরিয়ার সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিকম্পের তীব্রতার মাত্রা ছিল ৭ দশমিক ৮। মাত্রার হিসেবে আনুষ্ঠানিকভাবে এটিকে ‘বড়’ ভূমিকম্প বিবেচনা করা হয়। ১০০ কিলোমিটার ফল্টলাইন এটি ভেঙে ফেলে। এতে ফল্ট লাইনের কাছাকাছি থাকা ভবনগুলো ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ভূমিকম্পের পর শতাধিক আফটার শক হয়। সূত্র : বিবিসি, সিএনএন ও আল জাজিরা

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।